জাহান্নাম থেকে যদি আমরা বাচঁতে চাই, তাহলে আমাদেরকে বারবার এই বিষয়টি যাচাই করে দেখতে হবে যে, আমি বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যে আকীদা লালন করছি রাসূল সা. এবং সাহাবায়ে কেরাম রাযি. সেসব বিষয়ে এই আকীদা লালন করতেন কিনা? আমি যেভাবে দ্বীন পালন করছি এবং দ্বীন কায়েমের জন্য যে পথ ও পন্থা গ্রহন করছি রাসূল সা. এবং সাহাবায়ে কেরাম সেভাবে দ্বীন পালন করেছেন কিনা এবং আমার গৃহীত পন্থায় তাঁরা দ্বীন কায়েম করেছেন কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তর যদি হা-বাচক হয় তাহলে আল্লাহর শোকর আদায় করা উচিত। আর যদি না-বাচক হয় তাহলে এখন থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। নিজের আখেরাতের স্বার্থেই নিজেকে পরিবর্তন করা উচিত। আমার পোষণকৃত আকীদার যতটুকু ভূল ততটুকু বাদ দিয়ে সঠিকটা গ্রহণ করতে হবে। দ্বীন পালন ও কায়েমের পথে আমার অনুসৃত মানহাজ বা কর্মপন্থার সাথে রাসূল সা. এবং সাহাবায়ে কেরামের মানহাজ ও কর্মপন্থার যতটুকু অমিল রয়েছে ততটুকু পরিবর্তন করে আমাকে শতভাগ সাহাবায়ে কেরাম রাযি. এর মানহাজকে আকঁড়ে ধরতে হবে। দ্বীন পালন ও দ্বীন কায়েমের সর্বস্তরে, সর্বক্ষেত্রে রাসূল সা. এবং সাহাবায়ে কেরাম’ই আমার মডেল ও আদর্শ বলে বিবেচিত হবে। এসব গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ‘মাসূর’ তরীকা থেকে সরে গিয়ে কাফের ফাসেকদের আবিষ্কৃত, কিংবা নিজেদের উদ্ভাবিত নতুন কোনো পথ ও পন্থা কোনো অবস্থাতেই গ্রহন করার সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে এই উম্মাহর প্রথম অংশ যে তরীকায় মেহনত করে সফল হয়েছে, শেষ অংশও একই তরীকায় মেহনত করে সফল হবে। আকীদা-মানহাজের ক্ষেত্রে কারো সাথে কোনো শিথীল্লতার আশ্রয় নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, আকীদা-মানহাজের উপরেই এই উম্মাহ একতাবদ্ধ হবে। তাই আমাদের আকীদা-মানহাজ এমন স্বচ্ছ-শুভ্র হওয়া লাগবে রাসূল সা. যেমন স্বচ্ছ-শুভ্র রেখে গিয়েছিলেন। কাল ও মহাকালের পরিবর্তন ও বিবর্তনে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আকীদা-মানহাজের পরিবর্তন হতে দেয়া যাবে না, এর পরিবর্তন মেনে নেয়া যাবে না। আকীদা-মানহাজের বিষয়টি এতই স্পর্শকাতর যে, রাসূল সা. এবং সাহাবায়ে কেরাম রাযি. এর আকীদা-মানহাজ থেকে আমাদের সামান্য একটু দূরে সরে দাঁড়ালেই দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানের ধ্বংস আমাদের জন্য নির্ধারিত হয়ে যাবে।
.
.
প্রিয় পাঠক! গ্রন্থটিতে শরীয়তের দলিলের আলোকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের এমন কিছু আকীদা-মানহাজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যে আকীদা-মানহাজকে এদেশের প্রকৃত আহলুস সুন্নাহ দাবিদার এবং আহলুস সুন্নাহের প্রতিনিধিত্বকারীগণও আজ ভূলতে বসেছে এবং উপেক্ষা করতে শুরু করেছে। এ বইটিতে জিহাদ ও তাওহীদের অপব্যাখ্যা ও সংশয় সৃষ্টিকারীদের বিভিন্ন তাহরীফ ও সংশয়ের দালিলিক নিরসন করা হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের যাচাই করে রাসূল (সঃ) এর রেখে যাওয়া স্বচ্ছ শুভ্র আকীদা-মানহাজের দিকে ফিরে যাওয়ার তাওফীক দান করেন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে ও অন্যদেরকে বাচাঁনোর তৌফিক দান করেন। আমীন।
নেদায়ে তাওহীদ
300 ৳
লেখক : আবু উমার আল-মুহাজির
প্রকাশক : আল-মুহাজিরুন পাবলিকেশন্স
বইয়ের নাম | নেদায়ে তাওহীদ |
লেখক | আবু উমার আল-মুহাজির |
প্রকাশনায় | আল-মুহাজিরুন পাবলিকেশন্স |
প্রকাশকাল | ১ম প্রকাশ এপ্রিল ২০১৯ |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | ৫০২ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
Reviews
There are no reviews yet.